বান্দরবান সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত , খোলা হয়েছে একটি আশ্রয় কেন্দ্র

প্রকাশঃ ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৩৪:২৪ | আপডেটঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৩:৩১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। মিয়ানমারে চলমান সংঘাত বন্ধ না হওয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি  সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এখনো চলছে সীমান্তে  থেমে থেমে গোলাগুলি। আজ সকালে সীমান্তের ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া আরও একটি মটারসেল এসে পড়েছে। তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন পরিবার অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

 আজ সকাল সাতটা থেকে আবারও শুরু হয় তুমব্রূ সীমান্তে গোলাগুলি। গতকাল রাতে মিয়ানমারের ফাইটার প্লেন থেকে গোলাবার্ষণ করা হয়েছে সীমান্তে। এতে তুমব্রূ ও ঘুমধুম সীমান্তের বেশ কিছু ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন করে মিয়ানমার থেকে আরো  বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্র করে তুমরু সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।  

গতকাল দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মটারসেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুজন নিহত  হওয়ার পর সীমান্ত এলাকা থেকে  কয়েক শতাধিক পরিবার নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে। আতঙ্কে বন্ধ রয়েছে তুমব্রু বাজারের অধিকাংশ দোকান। সীমান্তে একটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন। এ পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজিবি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘুমধুমে আমরা একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি তবে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ এখনো আশ্রয় নেয়নি ।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতির কারণে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারী  দুপুরে ঘুমধুমে মর্টারশেলে নিহত দুইজনের মরদেহের সুরতহাল করা হচ্ছে এবং এই ঘটনায় নিহত হোসনে আরা এর স্বামী বাদশা মিয়া বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।