সংঘাতে বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে আসছে, আতংকে নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দারা

প্রকাশঃ ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০১:৩৯:৫৬ | আপডেটঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:২১:৪৪
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান।  মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে প্রাণহানি এড়াতে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষের জেরে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রথমে ১৪জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে কয়েক দফা মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রæ দিয়ে প্রবেশ করে এবং সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশের তুমব্রু ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণ করে।

এদিকে গত সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিভিন্ন গ্রুপের সাথে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সংর্ঘষ বেড়ে গেছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তুমব্রু এলাকার ২ বাংলাদেশী আহত হয়।

সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। বিদ্যালয়গুলো হলো বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।

সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ জনগণের চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করার পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে অবস্থানের আহবান জানিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আরো সর্তক থাকতে হবে এবং নিরাপত্তার কারণে  ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকার ৬টি বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কয়েকটি সড়কে যানবাহন ও সাধারণ জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।