আমতলীপাড়া একাদশ ৫-১ গোলে গুইমারা বাজার একাদশকে হারিয়েছে

প্রকাশঃ ২১ অক্টোবর, ২০১৮ ০৮:৪৯:৩২ | আপডেটঃ ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:১৯:০৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বর্ণাঢ্য আয়োজন আর হাজারো ফুটবল প্রেমী দর্শকের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারায় প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরী স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের (অনুর্ধ্ব-১৮) ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় আমতলী পাড়া একাদশ ৫-১ গোলে গুইমারা বাজার একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রতিদ্বন্ধিতাপুর্ণ খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে ট্রফি ও পুরস্কার বিতরন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরীর সন্তান ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। তিনি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল আমতলী পাড়া একাদশকে নগদ ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি ও রানার্সআপ দলকে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেয়া হয়। এছাড়াও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে তুলে দেন।

সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব পিএসসি জি, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: গিয়াসুদ্দিন, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী ও সিন্দুকছড়ি ইউপি চেযারম্যান রেদাক মারমা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

নিয়মিত খেলাধুলা যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ক্রিকেট ও ফুটবলে আমরা সাফল্য পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য সুস্থ বিনোদন। আর সুস্থ বিনোদন মানেই খেলাধুলা। তৃনমুলে খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে গুইমারাবাসীর দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী আগামী মাস থেকে গুইমারায় ভলিবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষনা দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের রূপকার প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরীর নামে শেষ হওয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট গুইমারার ক্রীড়াঙ্গণে নতুন মাত্রা যোগ করবে মন্তব্য করে বক্তারা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের সাথে থাকার ঘোষনা দেন। তারা বলেন, পাহাড়ে সম্প্রীতির মেল বন্ধন তৈরীতে বড় ভুমিকা রাখতে পারে সুস্থ বিনোদন।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মংসাজাই চৌধুরী ২১ সদস্যের র্পাবত্য শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য ও হাফছড়ি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা রাতের অন্ধকারে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার আর কোনো খোজ পাওয়া যায়নি।