প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০৮:২৪:৩৯
| আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:৪৬:৫১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো নির্মানে সাফল্য অর্জন করে আসছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। তারই স্বীকৃতি স্বরুপ আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টার হতে প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়াও প্রকল্পের ম্যানেজার হিসেবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ সফিকেও ম্যানেজারের চ্যাম্পিয়ন পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক অনুস্টানের মাধ্যমে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কটি বাস্তবায়ন করে। প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউট বা পিএমআই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। যা প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট সংশ্লিস্ট প্রকাশনা প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রদান করে। প্রজেক্ট ম্যানেজারগণকে সম্মানিত করার কোন প্ল্যাটফর্ম ছিল না। তারা সব সময় পর্দার পিছনে থেকে যান। এ পুরস্কারের মাধ্যমে প্রকল্প ম্যানেজারদেরকে সম্মানিত করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানের ক্রাউন প্লাজায় পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পিএমআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট অন্বেষা আহমেদ এ পুরস্কার তুলে দেন।
জানা যায়, সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সরকারী বেসরকারী ৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে মেডিয়াম ক্যাটাগরি প্রকল্পের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন করে প্রকল্পটি। পুরস্কার গ্রহণ করে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন। এ সময় এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুর হোসেন হাওলাদার রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ সফি, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রনব রায় চোধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের প্রজেক্ট ম্যানেজারগণ ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত প্রফেশনাল গণ উপস্থিত ছিলেন পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি বিষয়ে রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফি বলেন, আন্তর্জাতিক এ পুরস্কার রাঙামাটির মত দুর্গম ও দূরবর্তী একটি প্রকল্প, এই ধরণের প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার গ্রহণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমার টিম মেম্বার সকলের সহযোগিতায় এই কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি।
তিনি আরো জানিয়েছেন এ পুরষ্কার প্রাপ্তিতে দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্প পুরস্কার গ্রহণ করায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং সকলেই রাঙামাটি ভ্রমমে উৎসাহিত হবেন এতে করে স্থানীয় জনগণের জীবন মানে উন্নয়ন হবে। কাপ্তাই আসামবস্তি সড়কটি এ এলাকার মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। পর্যটন সম্প্রসারণে ভূমি রাখছে। মোট কথা এ সড়কটিরএ এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পল্লী অঞ্চলরে সড়ক যোগাযোগ এবং হাট বাজার ও গ্রোথ সন্টোর উন্নয়নরে মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনৈতিক গতিশীল করতে এলজিইডি নির্মাণ করে এ সড়কটি। সড়কটি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায়নি। এ এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সড়কটি রাঙামাটির পর্যটন সম্প্রসারণে রাখছে বড় ভূমিকা। এ সড়ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে অতি বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের পর সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়। এলজিইডি ও বুয়েটের কারিগরি টিম নতুনভাবে ডিজাইন করে ২০২০ সালে সড়কটি মেরামত ও প্রশস্থ করার কাজ আরম্ভ করা হয়।
৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করে ৩৯ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয় নতুন সড়ক ও ৩টি ব্রীজ। করোনায় কাজ বন্ধ হলে নানান প্রতিকুলতার মধ্যে ২০২৩ সালে জুন মাসে কাজ শেষ হয়। উল্লেখ্য বর্তমান সরকারের পর পর দু’বারের শাসনামলে রাঙামাটি এলজিইডির আওতায় পুরো জেলায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে।