বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০৭:২৩:৪৮ | আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:৪৭:৪৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বান্দরবান সদরের রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন সংলগ্ন দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন পরিষদ ও সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকার আয়োজনে দানোত্তম এই শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়।

কঠিন চীবরদান উপলক্ষে ভোর ৫টায় বিশ্বশান্তি মঙ্গল কামনায় সূত্রপাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিষ্কার দান, মহাসংঘদান ও কঠিন চীবরদান ও ধর্মদেশনা প্রদান করা হয়।

এসময় চীবর, শীল ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন ঢাকা মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাথের, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত মেত্তাবংশ মহাথের, জামিজুরী সুমনাচার বিদর্শন আরাম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শীলরক্ষিত মহাথের, চেমী কপিলা বস্তু বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত কথাশিল্পী দীপংকর মহাথের, জ্ঞানরতœ বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত সত্যজিত মহাথের, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ভিক্ষু সমিতির মহাসচিব ভদন্ত এস, ধর্মতিলোক থের, বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্র জ্যোতি স্থবির, আবাসিক ভিক্ষু ভদন্ত পরমানন্দ ভিক্ষুসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রæ, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অরুপ রতন সিংহ, বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি বেসান্ত বড়–য়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বড়–য়া, বান্দরবান পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র দিলীপ বড়–য়া, সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী প্রকাশ বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক অসীম বড়–য়া, অর্থ সম্পাদক রুপন বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বড়–য়া,দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সম্পদ বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক রাজীব বড়–য়া, অর্থ সম্পাদক রাহুল বড়–য়া ছোটন সহ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।

২৪ ঘন্টার মধ্যে টাটকা চীবর (কাপড়) তৈরি করার পর তা ভিক্ষুদের দানের মাধ্যমে কায়িক, বাচনিক ও মানসিক পূণ্য সঞ্চয় হয় বলেই বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে ‘ শ্রেষ্ঠদান ’ কিংবা কঠিন চিবর দান বলে, আর এই কঠিন চীবর দানের মধ্য দিয়ে সুখ শান্তি লাভের আশায় বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রবারণা পূর্নিমার পরে মাস জুড়ে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বিহারে জড়ো হয়ে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রদান করে।