খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ৮০০ পরিবার, ১১ পরিবার পূনর্বাসিত

প্রকাশঃ ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০১:১৪:৪৬ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৪:৩১
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পাহাড় ধ্বসের মারাতœক ঝুঁকি নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করছে নিম্ন, নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ৮০০ পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ। জেলা প্রশাসন কর্তৃক দফায়-দফায় ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকবার জরিপ  করে ঝুঁকিপূর্ন পরিবারের সংখ্যা নিরূপন করা হয়েছে। পাহাড় ধসের হুমকিতে থাকা এসব পরিবারের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১১ পরিবারকে স্থায়ী ও নিরাপদস্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৮ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কর্তৃক জেলা শিল্প কলা একাডেমীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় আজ শনিবার তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মতে পর্যায়ক্রমে পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা সকল পরিবারের পাশে দাঁড়াবে সরকার। ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সম্পদহানির পাশা-পাশি প্রানহানীর কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবদুল কাদের, খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক মোঃ শানে আলম, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালা উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র মোঃ রফিকুল আলম বলেন, কয়েক বছর আগেও যেসব পাহাড়গুলো গাছপালা-লতাপাতা-গুল্ম, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গে ভরা ছিল, যেখানে সাঁঝের পর শিয়ালের হুক্বাহুয়া সহ নানা বনসংগীতের সুর শোনা যেত, সেখানে আজ মানুষের করাল থাবা-বিজয় পদাংক, সাবাড় প্রাকৃতিক নিশানাবলী। নির্বিচারে পাহাড় কেটে পাহাড়ের উপরে ঘর, পাহাড়ের পাশে ঘর, পাহাড়ের নিছে ঘর, এমনকি পাহাড়ের গ্যাপেও ঘর। যারা পাহাড় শাসানোর স্বপ্নে বিভোর-তারাই নির্ঘুম রাত কাটান পাহাড়ের পাল্টা প্রতিশোধ আতংকে! তিনি সবাইকে সতর্ক হওয়ার অনরোধ জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালা উদ্দিন বলেন খাগড়াছড়ি জেলার আট উপজেলার উপজেলা শহরগুলোর চারপাশের পাহাড়গুলোও অপরিকল্পিত নগরায়নের কালো থাবার শিকার। বড় ধরনের দুর্ঘটনার  আগেই তাদের পাহাড়-প্রতিশোধ সম্পর্কে সচেতন, কার্যকরি উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন সহ জরুরী ভিত্তিতে পুনর্বাসন করা দরকার বলে মনে করেন।

এর আগে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালী বের করা হয়।