সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়াসহ আরো ১শ ৮ নেতাকর্মীর জামিনলাভ

প্রকাশঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৬:৫১:৩৯ | আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫২:১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে গত ১৮ জুলাই আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর দায়েরকৃত আরো দুই মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারসহ ১শ ৮জন নেতাকর্মীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের অবকাশকালী বেঞ্চ।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও  বিচারপতি কে. এম. ইমরুল কায়েস’র সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার এ. কে. এম. ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, আসামীদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে ফ্রেশ বেল বন্ড জমা দিতে হবে।

একই ঘটনায় গত ৭ আগস্ট মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ  আরো চার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারসহ ৫৩১ জন নেতাকর্মীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

একই ঘটনায় প্রায় দেড় মাস পর  গত ৩১ আগস্ট জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। জিআর নং ১২৮/২০২৩ ইং মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামী করা হয়। এছাড়াও একই ঘটনায় যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন টিটু বাদী হয়ে গত ২৭ আগস্ট খাগড়াছড়ি আমলী আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বাপ্পি দাশসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে আসামী করা হয়।

প্রসঙ্গত,গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনার জেরে বিএনপি ও  আওয়ামীলীগ ও বিএনপি অফিসে পাল্টা-পাল্টি হামলাসহ দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপের ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত ৫০ হয়।

আসামীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়েরকৃত মামলা পুলিশ গ্রহণ না করলেও প্রায় আড়াই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে পৃথক ৬টি মামলা হয়েছে। একটা স্বাধীন দেশে দুই ধরনের আইন, এটা দু:খজনক।