সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগে হাইব্রিড নেতাদের কারণে জেলা-উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দলে মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। দুঃসময়ে যাঁরা দলের জন্য জেল জুলুম খেটেছেন , দিনের পর দিন খেতে পাইনি, রাতে বাসা-বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি; তাঁরাই এখন অবহেলিত। টানা তিন মেয়াদে দলের সুসময়ে বসন্তের কোকিলরা দলের সকল সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে আর বঞ্চিত হচ্ছে ত্যাগী নেতারা।
বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি শহরের জেলা পরিষদ পার্কে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের প্রীতি সম্মেলনে সংগঠনের দু:সময়ের নেতারা এসব অভিযোগ-অনুযোগ তুলে ধরেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শিবশঙ্কর দেব’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মিলনে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল অতিথি হিশেবে বক্তব্য রাখেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর টিপুর সঞ্চালনায় সূচিত সভায় প্রয়াত সাবকে ছাত্র নেতাদের স্মৃতিচারণ করেন পৌর ছাত্র নেতা ফরিদুজ্জামান স্বাধীন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও খাগড়াছড়ি চালক সমবায় সমিতি লি:’র সভাপতি শ্রমিক নেতা মনোতোষ ধর, সাবেক ছাতত্রনেতা ও পৌর কাউন্সিলর বাচ্চুমনি চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা নুর আহম্মদ সরকার, জেলা ছাত্রলীগ’র সাবেক সভাপতি স্বপন চৌধুরী,সাবেক ছাত্রনেতা ধনা চন্দ্র সেন, সাবেক ছাত্রনেতা চিন্তা হরন শর্মা, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর অতীশ চাকমা এবং জেলা ছাত্রলীগ’র আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরা।
বক্তারা আর ও অভিযোগ করেন, যারা বর্তমানে ক্ষমতা দখল করে আছেন, যাদের জেলা পরিষদের সদস্য বানাচ্ছেন,আর যারা সদস্য হয়েছেন এবং বিভিন্ন পদে থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন তারা তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের চেনে কিনা সন্দেহ আছে।
তখন ছাত্রলীগ করেই পাপ ছিল। এখনকার খাগড়াছড়ির রাজনীতিতে যারা চেয়ারে বসে আছেন ঐ সিড়িতে দু:সময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ঘাম, রক্ত লেগে আছে। ভালো কাজের জন্য গেলেও মুল্যায়ন পাচ্ছেন না, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
সভায় কয়েকজন বক্তা সাবেক যুবনেতা মিন্টু দত্তের কথা উঠে আসে। তার করুণ অবস্থা। তার খোঁজ খবর দলের কেউ নেন না। ছাত্রলীগর দুঃসময়ে আওয়ামী লীগনেতা সৌখিন চাকমা ৫২ জন নেতা কর্মীকে দুঃসময়ে স্থান দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন , তার মৃত্যুতে খোঁজ খবর নেয়নি কেউ।