প্রকাশঃ ০২ জুনe, ২০২৩ ০৬:২২:৪৪
| আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৩৪:১৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করেছে। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর ) এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার (০১ জুন) কেএনএফ এর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রে্িরক্ষতে তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরে কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়।
তবে আনুমানিক সকাল ৯টা ২০মিনিটের সময় সেনা টহল দলটি সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা আইইডি (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে পতিত হয়। এসময় বিস্ফোরণে আহত ১জন সেনাসদস্যকে আশংকাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টারযোগে দ্রুততার সাথে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক তুজাম (৩০) মৃত্যুবরণ করেন।
সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দল কর্তৃক এ ধরনের আরও সম্ভাব্য আইইডি সনাক্ত ও নিষিয়করণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহিদ সেনাসদস্যের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে ক্রমাগত হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের এমন মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ।
প্রসঙ্গত : এর আগে গত ১৬ই মে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র কুকি-চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর অতর্কিত গুলি ও আইইডি বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর দুই সৈনিক নিহত হয়েছিল আর এই ঘটনায় আহত হয় দুই সেনা কর্মকর্তা।