সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি আজ মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় এক আনন্দ র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এরপর দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, প্রক্টর জুয়েল সিকদার বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা, রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) মাহবুব আরা এবং রাবিপ্রবি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সভাপতি কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের জন্য যে মহান লড়াই সংগ্রাম করেছেন তা ইতিহাসে চিরস্বরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি এ দেশের আপামর মেহনতি মানুষের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। তাছাড়া তিনি দেশ পরিচালনায় সারা বিশ্বে অনেক সুনাম অর্জন করেন এবং বিশ্বমানবতায় অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৭২ সালে ২৩ মে জুলিও কুরি সম্মানে ভুষিত করা হন । এ গৌরব আমাদের সবার ।
জানা যায়, নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরির নামে ১৯৫৯ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদ এ জুলিও কুরি পদক চালু করেন। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর জুলিও কুরি পদকের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে এক ঝাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। বলাবাহুল্য যে, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ঋষিতা চাকমা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।