মুন্না চাকমা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে চান

প্রকাশঃ ০২ অক্টোবর, ২০১৮ ১০:০২:৩৬ | আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৫:২৭:৪৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে জম্ম মুন্না চাকমা’র। কৃষিজীবি পরিবারের প্রথম সন্তান মুন্না ২০১০ সালে গঠিত খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য মনোনীত হন। তার আগে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছিলেন কলেজ কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক। এখনো সে কমিটি বহাল রয়েছে।
পাহাড়ের রাজনীতির জটিল সমীকরণে পাহাড়ি নারীদের ছাত্র রাজনীতি কিংবা জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার পথ সমতলের চেয়ে অনেক বেশি বন্ধুর এবং কঠিন।
পরিবারের প্রথম সন্তান হিশেবে তাঁর রাজনীতিতে জড়ানোর বাস্তবতা বোঝাও সহজ নয়। তবুও মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু’র নীতি-আদর্শের প্রতি দুর্বলতার জায়গা থেকে অনেকটা একলা চলো’র মতোই মুন্না চাকমা সময়ের ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এখন খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত।
ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি মুন্না চাকমা বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
গত ৩১ আগস্ট গণ-ভবনে কেন্দ্রীয়  ছাত্রলীগের জাতীয় শোক দিবসের সভায় মুন্না চাকমা; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যজ পরিয়ে দেয়ার সুযোগ লাভ করেন। একই সাথে সেই সম্মেলনে গঠিত নতুন কমিটির সভাপতি রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সা: সম্পাদক গোলাম রব্বানী’র কমিটিতে স্থান পেতে আগ্রহী।
তারই অংশ হিশেবে যোগাযোগ গড়ে তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল শাখা’র দায়িত্বশীল নেত্রীদের সাথে।
মুন্না চাকমা জানান, অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি পরিবার-স্বজন-সহকর্মীদের সহযোগিতায়। একটি জেলা বা দেশের অগ্রগতিতে নারী-পুরুষের সম-অশগ্রহণকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি থিম হিসেবে নিয়েছেন। আমি তাঁর এই দর্শনকে এগিয়ে নিতে সংগঠনের জাতীয় পর্যায়ে কাজ করতে চাই।

কথা হয় ঢাবি’র শামসুন্নাহার হল শাখা’র সা: সম্পাদক জেসমিন শান্তা’র সাথে। তিনি জানান, কম সময়ের মেলামেশায় পাহাড়ের রাজনীতির সক্রিয় নেত্রী মুন্না চাকমাকে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। মার্জিত স্বভাবের ভদ্র-নম্র এই সহকর্মী পাহাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগের কেন্দ্র রাজনীতিতে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই পাহাড়ের সাথে সমতলের ছাত্র রাজনীতির একটি নতুন গতিপথ সূচিত হবে।
বি এম লিপি আকতার। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা’র সভাপতি। তিনি জানান, একই আদর্শের ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে খাগড়াছড়ির ছাত্রলীগ নেত্রী মুন্নাকে ভালো করেই চিনি। ইদানীংকালে তার সাথে আমাদের যোগাযোগ এবং দেখা-সাক্ষাৎ বেড়েছে। আমরাও প্রত্যাশা রাখি পাহাড়কে এগিয়ে নিতে কেন্দ্রে পাহাড়ের নারী প্রতিনিধি প্রয়োজন।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক জহিরউদ্দিন ফিরোজ জানান, মুন্না চাকমা সংগঠনের একজন ভালো সংগঠক। বিনয়ী-ভদ্র কর্মী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ, মুন্না চাকমা’র পাশাপাশি খাগড়াছড়ি থেকে চবি’র শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনকেও অর্ন্তভুক্তি’র প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা জানান, একসময় খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের কার্যক্রমে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিলই না বললে চলে। সে জায়গা থেকে এখন জেলা এবং উপজেলা ছাত্রলীগে অনেক নারী সহকর্মীর সম্মিলন ঘটেছে। মুন্না চাকমাসহ বেশ কয়েক ছাত্রী সহকর্মীর হাত ধরে খাগড়াছড়ি ছাত্রলীগে এখন ডজনের ওপর সক্রিয় নেতাকর্মী রয়েছে।



তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, খাগড়াছড়ি জেলাছাত্রলীগ থেকে কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হলে জেলার রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। তাদের হাত ধরে ভবিষ্যতে অনেক বেশি নারী নেতৃত্ব বিকাশ হবে।