পার্বত্যবাসীকে ইউপিডিএফ-এর বৈ-সা-বি শুভেচ্ছা

প্রকাশঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৪৩:২৩ | আপডেটঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩০:০০

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃহ সামাজিক উসব উপলক্ষে ইউপিডিএফ-এর সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শঙ্কর চাকমা আজ ১২ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র এবং প্রবাসে অবস্থানকারী পাহাড়িদের বৈ-সা-বি (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু-বিষু-বিহু-চাংক্রান...) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানে ৮ বম পাড়াবাসীকে হত্যা, দীঘিনালা ও মানিকছড়িতে পর পর হামলা-খুন ও অব্যাহত দমন-পীড়নে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে এক অবর্ণনীয় কঠিন দুঃসহ পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী বৈ-সা-বি উসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করেন। পাহাড়ে ভয়-ভীতি আতঙ্কের মাঝে শত দুঃখ, গ্লানি, শোক ও বেদনা ক্ষণিকের জন্য ভুলে সবাই যাতে এ মহান উসবের দিনে কিছুটা হলেও আনন্দ উসবে সামিল হতে পারে, ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় বৈ-সা-বি শুভেচ্ছা বার্তায় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্মিলিতভাবে বৈ-সা-বি উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব তুলে ধরে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৮৪ সালে এক বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের ভাগ করে শাসন করার নীতির পাল্টা হিসেবে পাহাড়ে বৈ-সা-বি প্রবর্তন ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী। রোয়াংছড়িতে ৮ বম গ্রামবাসীকে হত্যাসহ সশস্ত্রগোষ্ঠীর প্রকাশ্যে খুন-অপহরণ-মুক্তিপণ আদায় অন্যদিকে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অনৈক্য ও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের উস্কানি-- এ পরিস্থিতিতে বৈ-সা-বির চেতনায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জারি রাখা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।

প্রাসঙ্গিক কারণে এখানে এটাও উল্লেখ করা আবশ্যক যে, বৈ-সা-বিসবে বিশেষত চাকমাদের মূল বিঝুতে প্রাণী হত্যা বা বলি দেয়ার রীতি নেই। আমীষ জাতীয় নয়, উসবের প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে হরেক রকমের বুনো শাক-সবজী সমাহারে তৈরি পাজন। উসবের চেতনায় রয়েছে সবার সম্মিলন, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একাত্ম হওয়া। এখানে বিত্তহীন বিত্তবানের কোন ভেদাভেদ নেই। উসবে সামর্থ্য অনুযায়ী পাহাড়ের বিন্নি চালের তৈরি পিঠা-পায়েস-শরবত ও ফলমূল পরিবেশিত হয়। কিন্তু অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে একশ্রেণীর লোক বৈ-সা-বিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন ও উদযাপন করে সমাজে বিত্তহীন ও বিত্তবানদের মধ্যে দূরত্ব ও ব্যবধান রচনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও ঐক্য দুর্বল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে নিজ নিজ পাড়া-গ্রাম ও মহল্লায় ছাত্র-যুবসমাজের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দরকার।