রাঙামাটির লংগদুতে ভূয়া দলিল তৈরির অভিযোগে সার্ভেয়ারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

প্রকাশঃ ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০৪:২৮:০৫ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:০৮:০৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় স্যুট কবলিয়ত নামে ভূয়া দলিল (জাল খতিয়ান) তৈরির অভিযোগে কামাল হোসেন (৪০) নামে এক সার্ভেয়ারসহ ৬ বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে দুইজন বাদী অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাহাব উদ্দিনের আদালতের পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করলে বিচারক এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য লংগদু থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পৃথক দুইটি মামলায় একই আসামি হলেও বাদী দুইজন। আদালত দুইটি আলাদা অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলাটি গ্রহণ করেছেন। একটি মামলার বাদী সূর্য্য বানু (৭২) আরেকটি মামলার বাদী শাহানাজ বেগম (৪৬)। মামলার আসামিরা হলেন- লংগদু উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কামাল হোসেন (৪০), আলী আকবর (৪৬), মো. লিটন (৩০), মুক্তা (৩২), বিলকিস বেগম (৪৮) ও মো. ইব্রাহিম (২৫)। আসামি ও বাদী সকলেই উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পেটান্যামাছড়ার বাসিন্দা।

বাদীর এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্ভেয়ার কামাল হোসেন ২ নম্বর আসামির মাধ্যমে স্যুট কবলিয়ত নামে জীবিত ও মৃত ব্যক্তির সাক্ষর জাল করে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে থাকে। ২০২২ সালের ২৪ জুলাই চার একর জমির একটি মিথ্যা ভূয়া জাল খতিয়ান ৩-৬ নম্বর আসামিগণ বরাবরে প্রদান করেন। এ ঘটনায় বাদী পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরে ১ ও ২ আসামি তাদেরকে ১ লাখ ২০ টাকা প্রদান করলে ৩-৬ নম্বর আসামিগণের মত করে আরও একটি খতিয়ান সৃজন করে বাদীকে প্রদান করবেন বলেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২ নম্বর আসামির সহযোগিতায় ৩-৬ নম্বর আসামি তাদের মৃত বাবাকে জীবিত দেখিয়ে ১ নম্বর আসামির অফিস হইতে জালভাবে সৃজিত খতিয়ান সৃজন করেন এবং উক্ত জাল খতিয়ান সরকারী অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করেন। সার্ভেয়ার কামাল হোসেন লংগদু উপজেলায় আনুমানিক শতাধিক মিথ্যা ভূয়া খতিয়ান সৃজন করে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেছে।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম মিঞা বলেন, স্যুট কবলিয়তের নামে লংগদু ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভূয়া দলিল সরবরাহ করে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে জমি রেকর্ড কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তিনি এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন। যার কোনো রেকর্ড সংশ্লিষ্ট কোনো অফিসে নেই।আসামিদের হয়রানি শিকার দুইজন ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা দুটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে লংগদু থানার ওসিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। পুরো উপজেলার ৪০০-৫০০ জন ভুক্তভোগী এই হয়রানির শিকার হয়েছেন।