সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। খাগড়াছড়ি শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খাগড়াছড়ি খাল এবং রাঙাপানিছড়াসহ ছোটবড়ো প্রাকৃতিক নালাগুলোর দুইপাশ অবৈধ দখলের ফলে ক্রমশ: সরু হয়ে আসছে। আসন্ন বর্ষার সময় উপরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে নেমে আসা পানি শহরের মাঝ দিয়ে সহজে নেমে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই কয়টি খাল আর ছড়ার ধারণ ক্ষমতা কমে গেলে শহরের ভেতর প্রবল জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। যা অতীতে দৃশ্যমান হয়েছিলো।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে,
শহরের মিলনপুর (চৌধুরী বোর্ডিং ও
সেলিম ট্রেড সেন্টার), বাজার
ব্রিজের দক্ষিণে এবং উত্তরে হোটেল
জিরান এলাকা, বাজার মসজিদের
পেছনের এলাকা, খাগড়াপুর (কমিউনিটি
সেন্টারের পেছনে), মাস্টারপাড়ায় খাগড়াছড়ি খালের পূর্বাংশ, ইসলামপুর
(ব্রিজের পশ্চিম পাশের্^) এবং
কলাবাগানের উত্তরাংশে (ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন) এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে
পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ অঅনুমোদিত এসব অবকাঠামোর ফলে
পানি স্বাভাবিক প্রবাহ মারাত্মক ব্যাহত
হবে। পাশাপাশি
অপক্ষোকৃত দরিদ্র মানুষের ভূমি-বসতবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন’র সভাপতি প্রদীপ
চৌধুরী ও সা. সম্পাদক
মুহাম্মদ আবু দাউদ এক
যৌথ বিবৃতিতে খাল-ছড়া বেআইনী
বেদখল প্রতিরোধে ‘জাতীয় নদী রক্ষা
কমিশন’ কর্তৃক সরেজমিন অনুস্ধানপূর্বক
প্রণীত দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছেন।
বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
করে উল্লেখ করা হয়,
শহরের মিলনপুর ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম
অংশে, খাগড়াপুর ব্রিজের পশ্চিমাংশে কয়েকজন প্রভাবশালী খাল
দখল করে ধারক দেয়াল
নির্মাণ করে জায়গা বাড়িয়ে
নিয়েছেন। খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, ‘পার্বত্য
চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’-এর
খাগড়াছড়ি প্রকৌশল শাখা এসব ধারক
দেয়াল নির্মাণে বিপুল টাকা বরাদ্দ
দিয়েছে। খাগড়াছড়ি
পৌরসভার কোন প্রকার অনুমতি
বা আইনী অনুমোদন ছাড়া
এসব অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে মূলত: প্রভাবশালীদেরকে জনগণের
টাকা অপচয় করে ‘তেলে
মাথায় তেল’ দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিদাদাতারা জেলা শহরের মতো
জায়গায় প্রকাশ্যে সংঘটিত এসব পরিবেশগত
অপরাধ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)