প্রকাশঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০৭:৪৬:২৬
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:২০:০৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে পার্বত্য এলাকায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এজন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরর্ত কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কর্ম দক্ষতা অর্জন করে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে। তবে অন্যান্য মৌসুমের ন্যায় পাহাড়ে শুষ্ক মৌসুমেও কৃষি উৎপান বৃদ্ধি সম্ভব। কথাগুলো বলেছেন কৃষিবিদরা।
সোমবার রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজিত দিনব্যাপী শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি এলাকা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিবিদরা।
কৃষিবিদরা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে পাহাড়ে দিন দিন জুম কমে যাচ্ছে। এর পরিবর্তে কৃষকরা বিভিন্ন বাগান সৃজন করছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছে। কিন্তু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখানে
পানি সংকটের কারণে শুষ্ক মৌসুমে কৃষি উৎপাদন কমে যায়। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ তা দিয়ে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিক রাখা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামেও তা করা যাবে। উপযোগী স্থানে বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হলে পাহাড়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিন পার্বত্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য, খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রধান মুন্সী রাশেদুল ইসলাম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক নুরুল আলম, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক পবন কুমার চাকমা।
কর্মশালায় রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলা, রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রাঙামাটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কৃষি কর্মকর্তারা অংশ নেন।