সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ খ্যাত ‘হালদা’ উজানে তামাক পোড়ানোর দুটি চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ও যোগ্যছোলা ইউনিয়নের হালদাসংলগ্ন এলাকায় ৩৭ হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে। তামাক ক্ষেতে কীটনাশক ও সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ‘হালদা’র পানি এবং প্রবাহ দূষণ দেখা দিচ্ছে। একই সাথে তামাক পোড়ানোর কাজে ব্যাপকহারে সামাজিক বনায়নের গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় ধোয়া দূষণের বিরুপ প্রভাবও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।।
এসব কারণে সোমবার (৫
মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে
সরেজমিনে উপজেলার আসাদতলী এলাকার মো. মুছা
মিয়া ও গোরখানা এলাকার
মো. ছাদেক মিয়ার বাড়িতে
গিয়ে বনের কাঠ চুল্লিতে
পোড়ানোর অপরাধে দুটি চুল্লি
ভেঙ্গে দেন উপজেলা সহকারি
কমিশনার (ভূমি) ও এ্যাক্সিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ। পরে স্থানীয় ইউপি
সদস্যদের জিম্বায় রেখে পুনরায় চুল্লিতে
আগুন না দেয়ার নির্দেশন
প্রদান করেন। এ
সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও কৃষি
বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
আসাদতলী এলাকায় শুধু ফসলি
জমিতে নয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘেঁষা
জমিতেও চাষ করা হয়েছে
তামাক। এসব
এলাকায় তামাকের পাতা পোড়ানোর জন্য
তৈরি করা হয়েছে ১৫টি
চুল্লি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)
ও এ্যাক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ বলেন,
কাঠ পুড়িয়ে তামাক পাতা
শুকানো আইনত অপরাধ।
যার কারণে দুটি চুল্লি
ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
আগামীতেও আমাদের অভিযার অব্যহত
থাকবে।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন’র সা. সম্পাদক
সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ, হালদা’র প্রাণ-প্রকৃতি
ও প্রবাহ রক্ষায় তামাকচুল্লি
গুড়িয়ে দেয়ার মতো প্রশাসনের
দূরদর্শী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।