সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে পুলিশের ফায়ারিং মহড়ায় গোলাবারুদের নির্গত গ্যাসে এলাকাবাসীর মাঝে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গ্যাসের ঝাঁঝাঁলো গন্ধে অনেকে বাসা বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খূঁজে বের হন। শ্বাসকষ্ট, বমি ও চোখ, মুখের ঝালা পোঁড়া নিয়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। লোকালয়ে এ ধরণের মহড়া চললেও কোন প্রকার ঘোষণা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ লাইন্সে বার্ষিক ফায়ারিং মহড়া চলছে। মহড়ার অংশ হিসেবে টিয়ারশেলসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ ফায়ার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিয়ারশেল ফায়ারের পর গ্যাসের বিষক্রিয়ায় খাগড়াপুর ও শালবন এলাকার অনেকে বাসা বাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। শ্বাসকষ্ট, বমি, চোখ ও মুখের ঝালা ফোঁড়াসহ পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যও আসেন অনেকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে জেলা পুলিশ লাইন্সে ফায়ারিং চললেও আশপাশে বসবাসকারীদের কোন কিছু জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কয়েকবার গুলির শব্দের পর তীব্র গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে নারী, শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
খাগড়াপুরের বাসিন্দা দেবাশীষ ত্রিপুরা জানান, কয়েকদিন ধরে পুলিশ লাইন্সের মধ্যে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। অন্যান্য বার ফায়ারিং শুরুর আগে এলাকায় মাইকিং করা হত। এবার তারও করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্যাসের গন্ধে বমি, চোখ ও মুখ ঝালাপোঁড়া, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আতঙ্কে অনেকে ঘর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। অনেকে হাসপাতালে যান।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা জানান, বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলনে টিয়ারশেলসহ অন্যান্য অস্ত্রের গোলাবারুদের নির্গত গ্যাসে গন্ধ ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানান, টিয়ারশেলের গ্যাসে মৃদু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও ঝুঁকির কিছু নেই। নানা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ৬ জন হাসপাতালে আসেন। তাদের ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।