প্রকাশঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৮:১১:৫৪
| আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:২৭:২৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে খাস ভূমি থেকে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ চেষ্টা ও চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তোলা বন্ধের দাবিতে অনশন শুরু করেছে একটি পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা থেকে জেলা শহরের শাপলা চত্ত¡রে অনশন শুরু করেন সদর উপজেলার কুমিল্লাটিলা আত্মমানব এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হকের পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি শহরের মুক্তমঞ্চে অবস্থান করেন। অনশনকারীদের মাঝে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।
ফজলুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কুমিল্লাটিলা আত্মমানব এলাকার ২ শ ৫০ শতক খাস ভূমিতে বসবাস করে আসছেন তার পরিবার। খাস ভূমি হওয়ায় দখল সূত্রে বসত বাড়ি ও বাগান করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ঠিকাদার মো. সেলিম এই ভূমিসহ আশপাশের অর্ধশতাধিক একর ভূমি নিজের বলে দাবি করে আসছেন। কয়েক পরিবারকে টাকা দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন এবং কয়েক পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছেন। আমাদের বসবাস ও দখলে থাকা ভূমি নিজের দাবি করে এখন উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনশনে নেমেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মো. সেলিমের কাছে প্রশ্ন করলে বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, খাস ভূমি নয়, মালিকানামূলে তিনি ভূমি ক্রয় করেছেন। আমার কেনা জায়গা কাজ করতে যাওয়ায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মানিক পাটোয়ারী ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতারসহ ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের ইন্ধনেই পরিবারটি এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগও করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মানিক পাটোয়ারী বলেন, ঠিকাদার মো. সেলিম ও অনশনকারী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ চলছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নেই। ঠিকাদার মো. সেলিম ভূমির দখল বুঝে পেতে কয়েকবার সহযোগীতা চেয়েছিলেন। অপরাগতা প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতার তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন।