প্রকাশঃ ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:১৯:৪৯
| আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৪৮:৩১
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ক্যান্টিলিভার ধসের ঘটনার দুই মাস পর পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী এক শ্রমিক। মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদুল আলমের আদালতে নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মাঝি জালাল খান পিটিশন জমা দেন।
আদালত পিটিশনটি আমলে নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় পিটিশনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারায় এজাহার বিষয়ে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীববী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বেদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও এ পিটিশনে অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, উপ-ঠিকারদার প্রাণতোষ বাবু ও মো. সেলিম।
পিটিশনের বাদী জালাল খান জানান, গত ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ক্যান্টিলিভারের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়ে দুই জন শ্রমিক নিহত ও ৫ জন আহত হয়। এ সময় শ্রমিক হতাহতের পাশাপাশি ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিন ও দেশীয় নির্মাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও অনিয়মের জন্য ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর শ্রমিকদের মজুরির ৪০ হাজার টাকা সহ সবমিলিয়ে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা করানোর জন্য ধার দেনা করলেও পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ঠিকাদারের লোকজন কোন প্রকার সহযোগিতা করেনি। ক্ষতিপূরণের টাকা চাওয়ায় উল্টো হুমকি দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে দুই মাস পর আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে।
অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, পিটিশনের উত্থাপিত বিষয়ে শুনে আদালত সন্তোষ প্রকাশ করে খাগড়াছড়ি সদর থানাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ জানান, আদালত থেকে এখনও কোন নির্দেশনা পায়নি। আদালত যে ভাবে নির্দেশ দিবেন সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়–য়ার কাছে তদন্ত কমিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও অগ্রগতির বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।