পার্বত্য সমস্যা রাজনৈতিক তাই রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : উষাতন তালুকদার

প্রকাশঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৮:২৭:০২ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৩:২৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই, পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি সত্তাগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন,  পার্বত্য চুক্তি কোন অর্থনৈতিক সমস্যা নয় একটি রাজনৈতিক সমস্যা এটি রাজনৈতিক ভাবে শান্তিপুর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। বল বা শক্তি প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না।

শুক্রবার ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে জনসংহতি সমিতি কর্তৃক রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেলা শাখার সভাপতি ডা: গঙ্গা মানিক চাকমার সভাপতিত্বে  জেলা  জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে  বক্তব্যে রাখেন যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি  খান মাসুদুজ্জামান, আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা,  হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত পাহাড়ী লোকজন অংশ নেন।

যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি  খান আসাদুজ্জামান বাদল বলেন, চুক্তির প্রথম শর্তে পাহাড়ে মানুষের আতœপরিচয় দেওয়ার হয়নি সেখানে চুক্তির ৭২টি ধারাগুলোই অকার্যকর। পার্বত্য চুক্তি সই হয়েছে শান্তির লক্ষে কিন্তু পাহাড়ে শান্তি মিলেনি। তিনি চুক্তি বাস্তবায়নে সামনে অনেক লড়াই সংগ্রাম করতে হবে, যে লড়াই চুক্তি বাস্তবায়নে, দেশকে রক্ষা করা লড়াই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার  তার বক্তব্যে আরো বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনের সময়  চুক্তি বাস্তবায়নে নির্বাচনী ওয়াদা দিলেও রক্ষা করেননি।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা বলেছেন চুক্তির ৭২টা ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে। এই ৪৮টা ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে আসছেন কত বছর ধরে? এর মধ্যে বেশীও হয়নি কমেওনি। শুধু ৪৮টায় ধরে রেখেছেন।  বিশেষ শাসন ব্যবস্থা তো ১৯০০ সালে সালে ছিলো, চুক্তিতে জেলা পরিষদ  পুলিশের কনষ্টেবল থেকে এসআই পর্ষন্ত নিয়োগ দিতে পারবে। কিন্তু পুলিশ নিয়োগের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কানে গেলে নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে থাকেন।  মনে হচ্ছে এখানে স্বাধীন পুলিশ হয়ে যাবে। এভাবে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখছেন। সাংবিধানসহ নানান আইন যাচাই-বাছাই করে আপনরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।  চুক্তি করেছেন অবশ্যই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে জেলা পরিষদে কোন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার জেলার ক্ষমতার মালিক। পার্বত্য জেলা পরিষদ তো গম-চাউল ভাগ করে দেওয়ার মালিক আর দু-একটু শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারে। এছাড়া তো আর কোন ক্ষমতা নেই এসব পরিষদের। তিনি জুম্মদের জাতীয় ও জন্ম ভূমি অস্তিত্ব সংরক্ষণে পার্বত্য চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নসহ আতœনিয়ন্ত্রাধিকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর আন্দোলন সংঠিত করার আহ্বান জানান।