পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষনার দাবী পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের

প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ১০:০৪:৫৯ | আপডেটঃ ০৭ মে, ২০২৪ ০৭:০৩:৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষনা ও অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে আজ রোববার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে সন্তু লারমা সমর্থত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।

সমাবেশে বক্তারা  বলেন, অনেক ত্যাগ ও  রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর অতিবাহিত হলেও পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তায়িত হয়নি।  চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক মানবধিকার পরিস্থিতি আজ চরম সংকটজনক হয়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম ভূমি সমস্যার সমাধান হয়নি।  সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের পরিবর্তে সংর্কীন স্বার্থে তাবেদারি ও চুক্তি বিরোধী ভুমিকা পালন করছে। বক্তারা দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষনাপূর্বক চুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা না হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।   

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে  পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি জিকো চাকমা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন মারমা। বক্তব্য দেন  পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব  সমিতির জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, হিল ইউমেন্স  ফেডারেশনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ম্রানুসিং মারমা, পিসিপির কলেজ শাখা করুন জ্যোতি চাকমা প্রমুখ।

এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল জেলা জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে শুরু হয়ে বনরুপা ঘুরে জেলা প্রশাসন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামীলীগ সরকার ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও চুক্তিবাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। সরকার ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিতে চুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ন বাস্তবায়িত ও ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ও ৯টি ধারা বাস্তবায়নে চলামান রয়েছে বলে অসত্য কথা তথ্য প্রদান করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে নিয়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা থাকলেও এসব পরিষদকে সাধারন প্রশাসন, আইন-শৃংখলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ববসস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রশাসনিক ক্ষমতা ও কার্যাবলী হস্তান্তর না করার কারণে পাহাড়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রুপ গড়ে উঠতে পারেনি। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে।  এতে এসব জেলা পরিষদগুলো দুর্নীতিা ও গণবিরোধী আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা অতি দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষনাপূর্বক পার্বত্য চুক্তির পুর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য ভূমি কমিশন কার্যকর  এবং ছয়টি ক্যান্টনমেন্ট বাদে সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার ও অপারেশন উত্তরণ প্রত্যাহারের তিন দফা দাবী জানান।