প্রকাশঃ ০৬ নভেম্বর, ২০২২ ০৪:৫৬:৩৬
| আপডেটঃ ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৬:৪২:৪৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। “ বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালী, আলোচনা সভা, ঋণের চেক ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা সমবায় বিভাগ।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (০৫ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অরুণ সারকী টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। পরে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
পরে অরুণ সারকী টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল এর সভাপতিত্বে এসময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ,বান্দরবান মুদি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাশসহ সমবায় সমিতির নেতৃবন্ধ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ কর্ম পালন করে সমবায়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের সবাইকে সমবায়ী এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। পরের করুণার পাত্র না হয়ে আমাদের যা আছে তা দিয়ে শুরু করতে হবে, আর তাতে সাফল্য আসবেই। এসময় প্রধান অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা তরুণ সমাজকে বসে না থেকে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ শুরু করার আহবান জানান।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল বলেন, ১৯০৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন সমবায় ঋণদান সমিতি আইন জারি করেন। এরপর একের পর এক সমবায় সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। পরে বিভিন্ন অঞ্চলে সমবায় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন হয়েছে, সমবায় ব্যাংক গড়ে উঠেছে, দিন দিন মানুষ সঞ্চয়ী হয়ে সমবায়ের মাধ্যমে মুক্তির পথের সন্ধান করেছে,এখনো করছে। এসময় তিনি আরো বলেন ,সমবায়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ সুগম হয়। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদনমুখী সমবায়ী বাড়ানো এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সংকট থেকে উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট থেকে উত্তরণ যতটা সহজে সম্ভব,একক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব নয়।
আলোচনা সভা শেষে ঘুর্ণায়মান ঋণের চেক ও জেলার শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদেরকে ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়।