র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃত জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জেলহাজতে প্রেরণ

প্রকাশঃ ২২ অক্টোবর, ২০২২ ১০:১০:২৯ | আপডেটঃ ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৬:৩৩:৫৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে র‌্যাবের অভিযানে আটক জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়-এর জঙ্গী সংগঠনের সাত সদস্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিনের তিন সদস্যকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এতে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, আটক জঙ্গী সাত সদস্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্যকে গতকাল দুপুরের দিকে বান্দরবান থেকে কড়া প্রহরায় রাঙামাটি কতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের(সংশোধনী-২০০১৩) মামলা দায়ের করা হয়েছে(মামলা নং-২, তারিখ ২১/১০/২২, ধারা ৬(২)/৮/৯/১০/১১/১২১৩)। পরে সন্ধ্যার দিকে আটক দশজনকে রাঙামাটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের আদালতে হাজির করা হয়। এতে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।

কোর্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান,আটক দশজনকে রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আটককৃতদের আদালতে হাজির করা হলেও কোন রিমান্ড চাওয়া হয়নি। দুয়েকদিন পর আবারো আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার র্সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্তের বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পমিাণ গোলাবারুদসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সাত সদস্য ও কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির(কেএনএফ) তিন সদস্যকে আটক করে। আজ শুক্রবার সকালে বান্দরবানে আটকের বিষয়ে সংবাদ সন্মেলন করে র‌্যাব।

অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সৈয়দ মারুফ আহমদ মানিক(৩১), ইমরান হোসাইন শাওন(৩১), কাওসার(৪৬), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ(২৭), মো. ইব্রাহিম(১৯), আবু বক্কর সিদ্দীক বাপ্পী(২৩), পলক মিয়া(২৬) এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ’র সদস্য জৌখান স্যাং বম(১৯), স্টিফেন বম(১৯), মাল সম বম(২০)। জঙ্গী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে উদ্ধারকৃত গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে ৯টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, কার্তুজ  কেইস ৬২টি, হাত বোমা ৬টি, কার্তুজ কেইস ১টি, কার্তুজ বেল্ট ২টি, দেশীয় পিস্তল ১টি, ওয়াকিটকি সেট ১টি, চার্জার ৩টি, কুকিচিং লিখা ১০ টি মানচিত্র এবং অস্ত্র গোলা বারুদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।