প্রকাশঃ ০১ অক্টোবর, ২০২২ ০৭:৫৮:৪৫
| আপডেটঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৫১:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্ট থেকে বয়স ভিত্তিক ফুটবল, জাতীয় দল হয়ে সাফ জয়। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সব গৌরব গাঁথায় যেন অংশীদার হয়ে আছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি।
সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর হিমালয়ের দেশ নেপালে সাফ ফুটবলের আসরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের যে জয় সেখানে খেলেছেন খাগড়াছড়ির মেয়ে আনুচিং মগিনী, আনাই মগিনী ও মনিকা চাকমা। সহকারী কোচ ছিলেন খাগড়াছড়ির আরেক মেয়ে তৃষ্ণা চাকমা। দেশে ফিরে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও সংবর্ধনা শেষে শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছেছেন খাগড়াছড়ির মেয়ে আনুচিং মগিনী, আনাই মগিনী ও মনিকা চাকমা।
রাঙামাটিতে গতকালের সংবর্ধনা শেষে আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় খাগড়াছড়ি আছেন। জেলা সদরের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তিন বুনোফুলকে ফুল দিয়ে বরণ করে দেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। এরপর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও আনাই-আনুচিংয়ের পরিবার ও এলাকাবাসী তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
খাগড়াছড়ির চার মেয়েকে নিয়ে বের করা হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ মোটর শোভাযাত্রা। ঠাকুরছড়া থেকে শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার, শাপলা চত্বর, পানখাইয়াপাড়া, মধুপুর মোড়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে শাপলা চত্বর হয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয় জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে। পরে সেখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংবর্ধিত অতিথিরা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবর্ধনা হলেও তা রূপ নেয় গণসংবর্ধনায়।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পুলিশ সুপার নাইমুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শানে আলম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের চেক বিতরণ করা হয়।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় মনিকা চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে খেলা মানসম্পন্ন মাঠ নেই। আবাসিক ব্যবস্থাসহ যদি একটি খেলাপযুগী মাঠ করা হয় তাহলে আগামীতে আরও খেলোয়াড় পাহাড় থেকে জাতীয় দলে স্থান করে নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ির গর্ব আনুচিং ও আনাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি সেতু এবং মনিকার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তা তৈরীর যে প্রতিশ্রæতি ছিল সেটি চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হবে।