সৌন্দর্যবর্ধনে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাড়ে ৩ হাজার চারা গাছ রোপন

প্রকাশঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৪:৩২:১৬ | আপডেটঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৫০:১২

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন খালি জায়গায়, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের পাশে, উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ডলু মৌজায় অবস্থিত ডিসি পার্কসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষে প্রায় সাড়ে হাজার চারা গাছ রোপন করেছে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন।

গত ১৫-২০ দিন ধরে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার, পুকুর পাড়, অফিসার্স ক্লাব, শিশু পার্ক, ডিসি পার্কসহ খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের দুপাশের বিভিন্ন খালি জায়গায় জারুল, কৃষ্ণচূড়া, কদম, বকুল, সোনালু, আমলকি, হরিতকি, নারিকেল, কাঠ বাদাম, মেহগনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বনজ গাছের চারা রোপন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে সকল গাছের চারা রোপন করেন। তাছাড়া রোপনকৃত চারা গাছ গুলোর চারপাশে নিরাপদ বেষ্টনীর দেয়ার মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে রোপনকৃত গাছের চারা গুলোর ক্ষতি না হয়।

ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা উহ্লামং মারমা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ-বনজ গাছের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ফুল, ফল ঔষধি গাছের চারা রয়েছে। রোপিত চারা গাছ গুলো যখন বড় হবে তখন উপজেলার সৌন্দর্যবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরীর জানান, জেলার প্রবেশধার নয়াবাজার ফরেনার চেক পোষ্ট থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্যবর্ধণের লক্ষে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ-বনজ গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগ স্থানেই ইতোমধ্যে লাগানো শেষ হয়েছে। বাকি জায়গাতেও চারা গাছ লাগানো হবে। রোপনকৃত চারা গাছ গুলো যখন ধীরে ধীরে বড় হবে তখন মানিকছড়ি উপজেলা সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে জেলার প্রবেশধার নয়াবাজার হয়ে যখন মানুষ খাগড়াছড়ি জেলায় প্রবেশ করবে তখন রাস্তার চারপাশে রোপনকৃত চারা গাছের সুন্দর্য সব বয়সি মানুষকেই আকৃষ্ট করবে। সেই সাথে ভ্রমণ পিপাসুদেরকেও। অনায়াসেই মানুষ চিনবে মানিকছড়ি উপজেলাকে। সেই সাথে চারাগাছ গুলো নিরাপদ বেষ্টনীর মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি চারাগাছ গুলো বড় হলে মানিকছড়ির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সবুজ বনায়নে ভরে যাবে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সড়ক