লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের লিজ বাতিল ও ভূমি রক্ষার দাবিতে ঢাকায় গোল টেবিল বৈঠক

প্রকাশঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৭:২৯:৪৫ | আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:১১:৫২
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। “লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ ও আমাদের ভূমি রক্ষার লড়াই” শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিকাল ৩ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে “লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি”এই গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গোল টেবিল বৈঠকে লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহŸায়ক, রংধজন ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত গোলটেবিলবৈঠকে অংশ নেন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগেরসাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গবেষক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রামস্থ সচেতন নাগরিক সমাজের যুগ্ম আহŸায়ক ডা: সুশান্ত বড়–য়া,বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ডা. ফয়জুল হাকিম(লালা), বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন,বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।

এতে সভা সঞ্চালনা করেন লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য মথি ত্রিপুরা এবং সভার প্রারম্ভে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী যোহন ¤্রাে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে জাতি হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের ওপরে নিপীড়ন নির্যাতন , সম্পত্তি-জমি বেদখল করার জন্য পুরো অঞ্চলে সামরিকায়ন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের পরবর্তীতে ’৮০ দশকে সমতল থেকে ৪ লক্ষের অধিক বাঙালিদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। সে কারণে সেখানে প্রায় সময় জাতিগত সংঘাত জিয়ে রেখে সুফল ভোগ করছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূ-বৈচিত্র্য, প্রাণ বৈচিত্র্যর সাথে রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ভয়ঙ্কর আক্রমনাত্মক ধ্বংসকারী একটি জিনিস। সেটি সত্তর দশকে শুরু হয়েছিল অর্থকারী প্রজেক্ট হিসেবে। কিন্তু এর কারণে যে পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে তা বিবেচনা করে না।

তিনি বলেন, রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ যে শর্তগুলো রয়েছে তা লঙ্ঘন করে অবৈধ্যভাবে দখল করে আছে। কিন্তু সেখানকার প্রশাসন নিরবতা পালন করছে। কোম্পানীর পক্ষে পক্ষালম্বন করছে। পানিতে বিষ প্রয়োগ করে পানিতে মারার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে দায়ী করছি এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের জনগণের আদালতে এনে বিচার করতে হবে। তিনি ভূমি রক্ষা কমিটি দাবির প্রতি সমর্থন জানান।