সদর উপজেলার ২৪টি বিদ্যালয়ে ডিগনিটি কিট ও সেইফ স্পেস উপকরণ বিতরণ

প্রকাশঃ ১৭ অগাস্ট, ২০২২ ১২:৩৭:৩১ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৮:৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কন্যা শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কম্পোনেন্ট প্রকল্প এবং স্টেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্রাক্টস (এসআইডি-সিএইচটি) পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি’র একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বান্দরবানে সদর উপজেলার ২৪টি বিদ্যালয়ে ডিগনিটি কিট ও সেইফ স্পেস উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে কন্যা শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কম্পোনেন্ট প্রকল্পে কানাডা অর্থায়নে স্থানীয় এনজিও তহজিংডং এর বাস্তবায়নে ২৪ স্কুলের কন্যা শিশুদের মাঝে সেইফ স্পেসসহ প্রতিটি স্কুলের জন্য ১টি ফাসাইট বক্স, ২টি টেবিল, ৮টি চেয়ার, ১টি ফ্লোর ম্যাট, ১টি ফ্যান ও ১টি করে হোয়াইট বোর্ড এ উপকরণগুলো বিতরণ করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক দীপ্তি কণা দে এর সভাপতিত্বে   এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,ইউএনডিপি এর ফোকাল পারসন পাইচিং উ মার্মা, তহজিংডং এর কর্মসূচি পরিচালক মো: জিয়া উদ্দিন, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার অতনু দেওয়ান, প্রকল্পের জেন্ডার ও ট্রেনিং অফিসার ইতি বিশ্বাস, কমিউনিটি মবিলাইজার ও বিভিন্ন স্কুল এর প্রধান শিক্ষক গন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক দীপ্তি কণা দে বলেন,এ প্রকল্পের মাধ্যমে বান্দরবান এর ২৪ স্কুলের স্কুল পর্যায়ে কন্যাশিশু ছাত্রীরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ, নির্ভয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে, সেজন্য প্রত্যেক স্কুলে সেইফ স্পেস সুব্যবস্থা প্রদানে স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করাসহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, মাসিক বিষয়ে জানতে সক্ষম হবে কন্যাশিশুরা, তার সাথে  নেতৃত্ব ও জীবন বিকাশ-দক্ষতা, সহশিক্ষন, সেইফ স্পেসের কন্যা শিশুদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তহজিংডং।

প্রধান অতিথি  উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সেইফ স্পেস মাধ্যমে কন্যা শিশু অর্থাৎ স্কুলের ছাত্রীরা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিকার ও প্রতিরোধে বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা প্রদানে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে তারা তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের পর সমাজে উন্নয়নে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার দ্বারা উন্নতি শেখরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। সমাজের কাছে তাদের যে দায়বদ্ধতা সেটা যেন তারা ভুলে না যায়। এসময় তিনি আরো বলেন,এ প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রশংসার দাবিদার রেখে নির্যাতনের ক্ষতিকর প্রভাব সর্ম্পকে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সকলে সচেতন বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনে কার্যক্রমে সর্ম্পকে ধারণা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।