দিদারুল আলম রাফি, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)। বর্ষায় ছনের চাল বেয়ে পানি পড়ে। ঘরের বেড়াও জোড়াতালি দেয়া। জীর্ণশীর্ণ থাকার জায়গা। ভাঙ্গা পা নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের খাবারের যোগান দেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতে না পারলে ক্ষুধার্ত থাকেন। একটি ঘরের জন্য তার দীর্ঘ প্রতিক্ষা।
বলছিলাম খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন মেরুং ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া গ্রামের বাসিন্দা কনিক প্রভা চাকমার (৬৭) কথা। কনিক প্রভার স্বামী শান্তি কুমার চাকমার মৃত্যুর পর ছেলের ঘরে থাকতে না পারায় বৃদ্ধ বয়সে ঠাঁই হয়েছে জংলার ধারের কুঁড়েঘরে।
কনিক প্রভা চাকমা বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে নিজের ভরনপোষণ চালাচ্ছেন। নিজের কোন বসতবাড়ি না থাকায় জঙ্গলের পাশে ভাঙা ঘরে দিন কাটাতে হচ্ছে। একটি সরকারি ভাতার কার্ড থাকলেও সেটা দিয়ে ঔষধ ও খাবারের ব্যয় মেটানো কষ্টকর হয়ে পরেছে। এই অবস্থায় একটি সরকারি ঘর পেলে উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কনিক প্রভা দীর্ঘদিন ভাঙা পা নিয়ে কষ্ট করছেন। গ্রামের লোকেদের অল্প সহযোগিতায় কোনরকম খাবার জুটলেও নিজের কোন ঘর না থাকায় ভাঙা ও পরিত্যাক্ত ঘরে বসবাস করেন। তার একটি ঘরের খুব প্রয়োজন।
মেরুং ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার স্বপন চাকমা জানান, কনিক প্রভা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। একটি ঘরের অভাবে কুঁড়েঘরে জরাজীর্ণভাবে বসবাস করছেন। সরকারিভাবে একটি ঘর দেয়া হলে তার কষ্ট লাঘব হবে। ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতার কথাও জানান তিনি।