সিএইচটি টুডে ডট কম, (মহালছড়ি) খাগড়াছড়ি। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চাই সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহালছড়ি উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতহয়েছে।
গতকাল বুধবার
সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ-এর সহযোগিতায় এবং জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও মহালছড়ি
উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম কর্তৃক মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত
স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরারসঞ্চালনায়ওউপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি মো: শাহাজাহান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি সাধন কুমার চাকমার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: জসীম উদ্দীন, মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের উপদেষ্টা ড: ইয়াসমিন আহমেদ, আহবায়ক ড. আহমেদ মোস্তাক রেজা চৌধুরী, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শেখ মাসুদুল আলম ও সফরসঙ্গীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকার
সারাদেশের ন্যায় মহালছড়ি উপজেলায়ও স্বাস্থ্যখাতে সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায়
এখন পথঘাটসহ যোগাযোগ অবকাঠামোর অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু তদসত্বেও মহালছড়ি উপজেলার
স্বাস্থ্যসেবার মান এখনো আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। তিনি উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে
পার্বত্য জেলা পরিষদসহ সদাশয় কর্তৃপক্ষের নিকট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের চব্বিশ ঘন্টা অবস্থানের সুবিধার্থে
জেলা পরিষদ কর্তৃক নিবিড় তদারকি, ডাক্তারদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্য বিভিন্ন
যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আহবান জানান।
সরকারি- বেসরকারি সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও মহালছড়িতে একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টার গড়ে তোলা জরুরী, যাতে এখানকার রোগীদেরকে খাগড়াছড়ি শহরের উপর নির্ভরশীল হতে না হয়। সকলের মাঝে সমন্বয় সুদৃঢ় হলে আস্তে ধীরে করে হলেও আগামীতে এ উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
সভায় বিশেষ অতিথিসহ অংশগ্রহণকারী গন্যমান্য ব্যক্তিগণ
তাঁেদর মতামত প্রকাশ করেন। বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার
মানোন্নয়নে জনসচেতনতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত
করে স্বাস্থ্যসেবায় টেকসই উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য
অধিকার ফোরামের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। বক্তারা সেবাপ্রদানকারী ও সেবা গ্রহণকারী
সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই সমস্যাগুলো সমাধান করার আহবান জানান।
অতিথিবৃন্দ ছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন নারী কার্বারি ভৌমিকা ত্রিপুরা, বিনয় কুমার শাস্ত্রী ও খাগড়াছড়ি ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সজীব।এ সময় জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম-এর উদ্যোগে রক্ত গ্রুপ নির্ণয় অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক শতাধিক ছাত্র-যুব ও সাধারণ নাগরিক তাদের ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করেন।