সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন তাইন্দং ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় উত্তম ত্রিপুরা নামে একজন ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত ও একজন সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হামলাকারী খুনীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোর ৫টার দিকে দুর্জয় চাকমার নেতৃত্বে সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের ৬ জনের একটি দল মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১ নং তাইন্দং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ায় সুনীল ত্রিপুরার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে তার ছেলে উত্তম ত্রিপুরা (২৫) ঘটনাস্থলে নিহত ও চিগনচিজি চাকমা (২৪) নামে ইউপিডিএফের এক কর্মী আহত হন।
আহত ইউপিডিএফ সদস্যের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাধীন ১ নং লোগাং ইউনিয়নে ধুধুকছড়া গ্রামে। তার পিতার নাম তুঙ্যা চাকমা। তিনি সাংগঠনিক কাজে তাইন্দং-এ থাকেন এবং উত্তম ত্রিপুরাদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।
অংগ্য মারমা সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে আস্ফালন ও ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের’ জন্য সেনা অভিযানের কথা বললেও বাস্তবে তারাই সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছে এবং তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে পাহাড়ে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। অপরদিকে তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংগ্রামরত ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদের উপর অবর্ণনীয় দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে।
পাহাড়ে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতির জন্য সরকারের গৃহীত ভুল নীতিকে দায়ি করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন কিংবা এপিবিএন ক্যাম্প নির্মাণ নয়, বরং এজন্য যা করতে হবে তা হলো নব্যমুখোশ বা পাহাড়ি রাজাকার নামে পরিচিত সন্ত্রাসী দলগুলোকে ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের আস্তানায় পরিণত হতে না দেয়া।
কারা পাহাড়ে সন্ত্রাস করছে, কারা তাতে উস্কানি ও মদদ দিচ্ছে এবং কোন দলের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসকে চালিত করা হচ্ছে তা সবার কাছে স্পষ্ট বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন খুন, সন্ত্রাস ও দমনপীড়ন চালিয়ে ইউপিডিএফের নেতৃত্বে পরিচালিত গণআন্দোলনকে কখনই দমন করা যাবে না।
তিনি অবিলম্বে উত্তম ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার এবং পাহাড়ি রাজাকারদের মদদ দেয়া বন্ধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।