সিএইচটি
টুডে ডট কম, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)। মহালছড়িতে আনুমানিক ৪০ শতক গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস
করেছে সেনাবাহিনী। ৬ জুন সোমবার ১০ টার দিকে মহালছড়ি উপজেলার দাতকুপিয়া আর্মি
ক্যাম্পের আওতাধীন বিহারপাড়া এলাকায় বিশেষ টহল চলাকালীন সময়ে আনুমানিক প্রায় ৪০
শতক গাঁজা ক্ষেত (যার আনুমানিক ওজন ২২০ কেজি) এর সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি সেনা জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো: আবু ফয়সাল তুষার (পিএসসি) টহল দলের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনসাধারণ এর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এর মাধ্যমে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে
জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায়
মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী দল গুলোর
সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক
কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায়
জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারীর ও শক্ত গোয়েন্দা
কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন। গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ছিলেন
জমির মালিক দিলিপ কুমার চাকমা (৫০), পিতা: অনিল কুমার চাকমা, গ্রামঃ বিহারপাড়া, ৩নং
কেয়াংঘাট ইউনিয়ন, থানাঃ মহালছড়ি, জেলাঃ খাগড়াছড়ি। তিনি বিহারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। গাঁজা ক্ষেত ধ্বংশ করার সময় মহালছড়ি উপজেলার মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন এবং মহালছড়ি থানার এস আই মো:
মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা
বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি
জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা
নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এইরুপ কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন
প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে অনুমেয়। মহালছড়ি
জোনের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনের এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।
ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানায় মহালছড়ি জোন।
মহালছড়ি জোন কর্তৃক পূর্বেও এই ধরণের বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি, তথাপি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হচ্ছে।