প্রকাশঃ ১৬ মার্চ, ২০২২ ০৪:২৬:৩৮
| আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৪৫:৩০
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২ সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ইউপিডিএফ’র সংগঠক মিলন চাকমা ওরফে সৌরভ (৪৭)-কে [জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার নাম নবায়ন চাকমা] হত্যার অভিযোগ করেছে। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার সময় দীঘিনালা জোনের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দীঘিনালা উপজেলার ৪নং দীঘিনালার ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের বাগানপাড়া এলাকার মনিভদ্র কার্বারি পাড়ায় অভিযান চালায় এ সময় সেখানে চিকিৎসার কারণে অবস্থানরত ইউপিডিএফ সংগঠক মিলন চাকমাকে আটক করে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে তার শরীরের অবস্থা খারাপ হলে তাকে নিয়ে এসে দীঘিনালা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
শুধু তাই নয়, শান্তি রঞ্জন চাকমার বাড়ি তল্লাশিকালে তাঁর বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ করে দেয় অভিযোগ উঠেছে।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে সরকার খুন-গুমের পথ বেছে নিয়েছে। ইউপিডিএফের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের বিনা বিচারে হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। কিন্তু সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধানের পথে না গিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবহার করছে আর এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জুম্ম জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নিহত মিলন চাকমা দীঘিনালার বাবুছড়ার চন্দ মোহন কার্বারী পাড়ার আনন্দ মোহন চাকমার ছেলে এবং ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সশস্ত্র শাখার কোম্পানী কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সানজিদা জানান, মিলন চাকমাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তার আগে মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হতে পারে সেটি ময়না তদন্তের আগে নিশ্চিত বলা যাবে না।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে মিলন চাকমা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, ঘটনায় জড়িতদে শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অন্যায় দমন-পীড়ন, খুন, গুম বন্ধের দাবি জানান।