পানির দামে বিক্রি সরকারি গাছ. কোষাগারে জমা হয়নি টাকা

প্রকাশঃ ০৩ মার্চ, ২০২২ ০১:৩৬:৩২ | আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৩৬:৫০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সেগুন গাছ কর্তন হয় জানে না উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদে থাকা ৬টি সেগুন গাছ কর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইংরেজিতে উপজেলা পরিষদের গাছ কর্তনের নিলাম দেয়া হলেও ইজারাদার চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেয়নি। নিয়ম অনুয়ায়ী গাছগুলো নিলাম দিয়ে সবোর্”চ দরদাতাকে দেয়ার কথা। নিলাম কমিটি সেই কাজটি না করে তাদের পছন্দসই একজন কাঠ ব্যাবসায়ীকে ডেকে গাছগুলো বাজার দরের চেয়ে নাম মাত্র মূল্যে দরে কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, এই  ছয়টি সেগুন গাছ বাজারে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হবে। নিলাম কমিটির সদস্য সচিব ও বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু রাম চাকমার যোগ সাজসে গাছগুলো পানির দামে নিলাম হয়েছে। তাছাড়া গাছ নিলাম হওয়ার বিষয়টি খোত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেই জানে না। কাগজে পত্রে নিলাম দেখানো হলেও গাছ কর্তনের মূল্যকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাতের আধাঁরে সেগুন গাছ গুলেঅ কেঁেট নিয়ে যায় ব্যবসায়ী।

টাকা জমা না দিয়ে গাছ কর্তন হওয়ায় খবর শহরজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কোন প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই অনেকটা গোপনীয়ভাবে নিলাম দেখিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেটের কাছে উপজেলা পরিষদের ৬টি পুরাতন সেগুন গাছ মাত্র ১৭ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করা হয়। এত দামি ৬টি সেগুন গাছ কিভাবে কম টাকায় বিক্রি করা হল এ প্রশ্নই এখন ব্যবসায়ী মহলসহ সর্বত্র। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, গাছ বিক্রির অন্তরালে রয়েছে বিশাল দূর্নীতি।

এ বিষয়ে নিলাম কমিটির সদস্য সচিব বাবুরাম চাকমা নিলামে কতজন অংশ গ্রহন করেছে এবং সর্বোচ্চ দর কত হয়েছে তা কিছুই বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, উপজেলা পরিষদের গাছ কর্তন করার বিষয়ে আমার কোন হাত নেই। শুধূ মাত্র নিলাম কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে গাছের মূল্য নির্ধারন করে দিয়েছি।
নিলাম কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা মতিন  বলেন, গাছগুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই কর্তন করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে অজ্ঞাত রেখেই এ কাজটি করা হয়েছে। গাছ কর্তনের কোন নিয়ম মানা হয়নি। শুধু মাত্র কাগজে পত্রে নিলাম কমিটি করে বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে নির্ধারন করা হয়েছে। তাছাড়া ইজারাদার সরকারী কোষাগারে টাকা জমা না দিয়েই রাতের আধাঁরে গাছ কর্তন করে নিয়ে গেছে। বিষয়গুলো তিনি মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করবেন বলেও জানান।