প্রকাশঃ ০৩ মার্চ, ২০২২ ০৬:২১:৪০
| আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৫১:৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলার অর্ধশতাধিক হেডম্যান ও কার্বারী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০’ আইন বলবৎ রাখা ও এর সপক্ষে সরকারের অবস্থান গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য; পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্য অনুয়ায়ী ও ১৯০০ সালের আইন অনুযায়ী হেডম্যানরা হলেন মৌজার প্রধান, কার্বারীরা হলেন গ্রামের প্রধান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৩ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় হাইকোটে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার পক্ষে অ্যাটনী জেনারেল কার্যালয় থেকে বিদ্বেষপ্রসুত, ত্রুটিপূর্ণ, পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যমুলক অবস্থানের কারনে হাইকোট পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০ আইনকে ‘মৃত আইন’ বলে রায় দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেন এবং ১৯০০ সালের আইনকে বৈধ ও কার্যকর আইন মর্মে ঘোষণা করেন।
এই রায়ের পরও ২০১৭ ও ২০২১ সালে আপিল বিভাগে দুইটি রিভিউ পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাগুলো বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারের প্রক্রিয়াধীন। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী নেতৃত্ব হেডম্যান ও কার্বারীগণ বর্তমান সরকারের কাছে ১৯০০ সালের আইনের স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহনের আহ্বান জানান।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি(শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত) অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন সংশোধন ও প্রনয়ন করা হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠী গুলোর প্রচলিত আইন, প্রথা, রীতি, পদ্ধতি ও রেওয়াজ সমূহ অব্যাহত ও কার্যকর রাখতে ১৯০০ সালের আইন পূর্ণাঙ্গভাবে বলবৎ রাখা খুবই জরুরী।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি সাথোয়াই চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য সংরক্ষণে ১৯০০ সালে প্রণীত আইন অবশ্যই প্রয়োজন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি হিরনজয় ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক স্বদেশপ্রীতি চাকমা, নারী হেডম্যান ও কার্বারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জয় ত্রিপুরা প্রমুখ।