খাগড়াছড়িতে ৫ ইট ভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশঃ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৯:২৮:০২ | আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৫:৫৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধ সকল ইট ভাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে গত ২৪ জানুয়ারী নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর আলোকে চলতি সপ্তাহে খাগড়াছড়ির জেলা সদরে ১, মাটিরাঙ্গা ৬টি , দীঘিনালা ২টি , মানিকছড়ি ২টি, মহালছড়ি ৩টি , পানছড়িতে ৩টি ও রামগড়ে ৯ টি ভাটা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু হাইকোর্ট ও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ভাটাগুলোতে উৎপাদন চালু রাখা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্দেশ অমান্যকারী ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালত হয়েছে দীঘিনালা ও রামগড়ে।

জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলার হেডম্যান পাড়ার এডিবি ব্রিকস ও রসিকনগরের সেলিম এন্ড ব্রাদার্সকে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অমান্যের অপরাধে পৃথক পৃথক অভিযানে ১ লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই অপরাধে রামগড়ের ৩ টি ভাটায় এক লাখ টাকা করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত শনিবার এই দুই ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ভাটা মালিক তা অমান্য করে শ্রমিকদের দিয়ে উৎপাদন চালু রাখায় ভ্রাম্যমান আদালত করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন শর্ত লঙ্ঘনের অপরাধে প্রত্যেক ভাটাকে ১ লাখ করে জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২ ভাটায় জরিমানা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, বিড়ালকে মাছ পাহারা দেয়ার মতো ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। ভাটা ধ্বংস না করে কাগজ, সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দায় সরাচ্ছেন। এ ভাবে পরিবেশ সুরক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। দ্রুত পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সকে এ বিষয়ে তৎপর হতে অনুরোধ করেন তিনি।


খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় ইট ভাটা রয়েছে ৪২ টি। যার সবকটি লাইসেন্সবিহীন। স্থানীয় প্রশাসনকে নাম সামান্য জরিমানা দিয়ে বছরের পর বছর চলছে এ কার্যক্রম।