শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

জুরাছড়িতে লক ডাউন নিয়ে যত ঝড়

প্রকাশঃ ১২ জুলাই, ২০২০ ০১:০৮:৫৪ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৭:০৩:১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামন প্রতিরোধে সেনা বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম ও সামাজিক সচেতনতা কর্যক্রমে বিশাল ভূমিকা পালন করে ছিল। কিন্ত একটি চক্র এটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় অতি রঞ্জিত করে সংবাদ প্রচার করছে। যার ফলে সেনা বাহিনী এসব কার্যক্রম থেকে ছড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  যা এলাকাবাসীর জন্য দুঃখজনক।

রোববার (১২ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামন প্রতিরোধে  কমিটির বিশেষ সভায় বক্তারা একথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, মৈদং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিনী কুমার চাকমা, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি সদস্য চিজি মুনি চাকমা, দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক তপন কান্তি দে, স্থানীয় সাংবাদিক, মেডিক্যাল অফিসারসহ বাজার কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার সারা দেশে লক ডাউন খুলে দিলেও উপজেলাকে সুরক্ষা রাখতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামন প্রতিরোধে  কমিটি সিদ্ধান্ত ক্রমে লক ডাউন এখানে অবহ্যত রয়েছে। এটি কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন সেনা বাহিনীর কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সেনা বাহিনী সহযোগীতা করছে মাত্র।

সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা বলেন, লক ডাউন খুলে দেওয়া কিংবা রাঙামাটি যাতায়ত উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে করোনা প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং লক ডাউন খুলে দেওয়া যুক্তি যুক্ত নয়।

সভায় যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে :

১. সাধারণ জনগন রাঙামাটি যাতায়তের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বাজারে ব্যবসায়িদের ক্ষেত্রে স্ব-স্ব বাজারের সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে। তবে রাঙামাটির বাহিরে হলে উপজেলাই ফেরত আসলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইমে থাকতে হবে।

২. সরকারি চাকুরি জীবির ক্ষেত্রে রাঙামাটি যাতায়তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে।

৩. অনুমোদন বিহীন কাউকে পাওয়া গেলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইম ও বহনকারী নৌ চালকে জরিমানা করা হবে।

এদিকে স্থানী সাংবাদিক সুমন্ত চাকমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘‘ জুরাছড়িতে আগামীকাল থেকে কঠোর হচ্ছে লক ডাউন ” পোস্টে অনেকে এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছে। এটি অযৌক্তক বলে দাবী করছে।

অন্যদিকে স্থানীয় কার্ব্বারী অনিল কুমার চাকমা মুঠো ফোনে জানান, সরকারি চাকুরি জীবিরা বেপরোয়া ভাবে রাঙামাটি যাতায়ত করছে। অথচ এর কষ্ট পেতে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে। এটি যুক্তি সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions