মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪

পাহাড় ডিঙিয়ে মানুষের ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা

প্রকাশঃ ২৯ মার্চ, ২০২০ ১২:৫৬:২৭ | আপডেটঃ ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০৩:২১:২৫
হিমেল চাকমা, বিশেষ প্রতিনিধি, রাঙামাটি। একের পর এক পাহাড় ডিঙিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকারের দেওয়া খাদ্যশষ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়া হচ্ছে।

জীবনে এ প্রথম এভাবে ত্রাণ পাওয়া উচ্ছাস প্রকাশ করেনে পাহাড়ের মানুষ। এজন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেন তারা।

গত শনিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদের সহযোগীতা করছেনইউনিয়ন ও পৌরসভার সদস্যরা।

রোববার সকালে শহরের রসুলপুর এলাকায় হত দরিদ্রদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ। এসময় তিনি বলেন হত দরিদ্রদের দেখে দেখে এবং ত্রাণ পৌছানোর নিশ্চয়তার জন্য তারা কষ্ট হলেও ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম করছেন। এখানে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সহযোগীতা করছে। জেলা প্রশাসন ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম করছে।

করোনা মোকাবেলার এ পর্যন্ত জেলায় ১২শ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ১২ লাখ টাকা দিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমনে প্রতিরোধ করতে গিয়ে হত দরিদ্রদের যেন খাদ্য সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন করছে জানালেন জেলা প্রশাসক।

বিকালে রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নে বড়াদম এলাকায় গিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।

এসময় তিনি বলেন ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে বাজার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।  এ অবস্থায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। তব্ওু তারা চেষ্টা করছে করোনা সংক্রমন ঠেকানোর। সদর উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে সড়ক ও নৌ পথে গিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি। আমাদের কষ্ট হলেও মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেজন্য এ কাজ করছি। আমরা নিশ্চিত হচ্ছি যেন সবার হাতে ত্রাণ পৌছায়)



একই সময়ে রাঙামাটির জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, বরকল, কাউখালী,কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়াচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম চলাচ্ছেন। ১০ উপজেলা নিয়ে গঠিত রাঙামাটি জেলার জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। এখনো পর্যন্ত জেলায় কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions