শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
কাপ্তাইয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই বাচানো সম্ভব কেপিএম : বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশঃ ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:২৭:৩৬ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৪৮:২২
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ ঐতিহ্যবাহী এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’ (কেপিএম)’র কাগজ উৎপাদনে জন্য এক সময় প্রচুর পরিমাণে মুলি ও বাড়িয়াল বাঁশ সহ নানান প্রকার গাছের প্রয়োজন হতো। যা সংগ্রহ করা হতো রাঙামাটির বরকল, মাইনী, হরিণা, মাচালং, কাঁচালং সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতির বিপ্লবে সিংহভাগ ভূমিকা রাখতো প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় যে খাতা ব্যবহার হতো তার চাহিদার বেশির ভাগই মেটাতো প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ২৩টিরও বেশি নানান প্রকৃতির কাগজ উৎপন্ন করে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে যা এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কলের খ্যাতি অর্জন করে।

কিন্তু ২০০৮ সালের পর ক্রমাগত লোকসানের মুখে বাঁশ-গাছ সংগ্রহ করা কমিয়ে দিলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তার প্রভাব পড়ে সমগ্র পাবর্ত্যাঞ্চল জুড়েই। বেকার হতে বসে শ’খানের বাঁশ ব্যবসায়ী। শুরু হয় এ’অঞ্চলে ব্যবসায় খাতে মন্দাভাব। কিন্তু বর্তমানে লোকসানের হার কমে আসলেও অর্থ সংকটের কারণে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানটি। এমনটি বলছেন কেপিএমের সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক।

তবে বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয় তা যদি কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলসকে তৈরী করতে দেওয়া হয় অন্তত এই সুযোগে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানানো হলে তিনি নিশ্চয় পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতিতে প্রভাব সৃষ্টিকারী এই প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। এর মধ্যে লাভ কম করে অন্তত পক্ষে কেপিএমের উৎপাদিত কাগজের পরিমাণ বৃদ্ধি করার কথা বলেন তিনি।

বুধবার বিকেলে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলস লি. এসে মিলসটির বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে অতিথি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিবিএ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্ণফুলী পেপার মিলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম.এম.এ কাদেরের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ.কে.এম মামুনুর রশিদ, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম চৌধুরী বেবি, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু সহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, বেতন ভাতা বকেয়া থাকায় মিলসটির ৩’শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে জানা যায়। কর্ণফুলী পেপার মিলের আধুনিয়কায়নের মাধ্যমে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কে.পি.এম’র সাবেক শ্রমিক-কর্মচারী,কর্মকর্তা ও তাঁদের সন্তানদের আয়োজনে ‘আসুন কেপিএম বাঁচাই’ সংগঠনের ব্যানারে গতমাসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে দুইশতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বেলুন আকাশে উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠিও দেওয়া হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions