বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে রাঙামাটিতে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ০৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০৪:০৫:০১ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৭:২৫:৩৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি বরকল উপজেলাধীন কলাবুনিয়া বামল্যান্ড এলাকার একটি কুচক্রী মহলের মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে ভুক্তভূগি ঐ এলাকার বাসিন্দা মো: আব্দুর রহমান এর পক্ষে তার সন্তানরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো: আব্দুর রহমান’র ছেলে মো: নাজমুল ইসলাম, এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ভাই কামরুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে মো: নাজমুল ইসলাম জানান, ‘বিগত ০১-১০-২০১৯ ইং তারিখে মনিরুজ্জামান, বরুন ও তার সহধর্মীনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মো: ইমদাদ শেখ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়েত ইসলামের বরকল উপজেলা কলাবুনিয়া গ্রামের অন্যতম সক্রিয় কর্মী সাইদুল ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম এই কুচক্রী মহলের নেতৃত্বে রাঙামাটিতে একটি সংবাদ সম্মেলন পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধনের আলোকে আমার পিতা মো: আব্দুর রহমানকে চিহ্নিত ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রসী হিসেবে দাবী করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ সমূহের ভিত্তিতে আমার পিতা মো: আব্দুর রহমান ও আমার পরিবার পরিজন সহ সমাজ প্রতিনিধিদের সম্মানহানী করেছে।

তিনি এতে বলেন, ‘যাহারা মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করিয়াছে তাহারা বেশিরভাগ লোক একই পরিবারের সদস্য এবং একাংশ প্রভাবিত হইয়া অর্থের বিনিময়ে ক্ষনিকের জন্য লাইনে দাড়িয়েছে। আমার পিতা মো: আব্দুর রহমান পরিবারের সদস্যগণ এলাকার কোন লোকজনের সহায় সম্পত্তি আত্মসাত করে নাই বা জামি আত্মসাত বা জবর দখল করার কারণে আমার পিতা ও আমার  পরিবারের সদস্যগণের বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে কোন মামলা মোকদ্দমাও কোন লোক দায়ের করে নাই। আমার বাবার সম্পত্তি এলাকার একটি কুচক্র মহল জোর পূর্বক জবর দখল করার প্রচেষ্টা করছে যার কারণে আমার বাবা আইনের আশ্রয় নিয়েছিলো। তারা মামলায় কোন জমির কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারবে নাই এবং প্রমাণ করতে পারবে নাই এটা তাদের জমি তাই তারা বর্তমানে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের সম্মানহানী ও জমি অবৈধ দখল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের পিতা একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি মানুষ গড়ার কারিগর তিনি সমাজের ও মানুষের কেমনে ক্ষতি করতে পারে? তিনি এবং আমার পরিবারের সদস্যগণ কোন প্রকারের ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রসী কার্মকান্ডে লিপ্ত নই। আমরা সদা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা সকল ভাইরা নিজ নিজ পড়ালেখা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য এক এক স্থানে অবস্থান করছি। তাই বাড়িতে যাওয়া হয় না অনেকটা সময় কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমার বাবার নেতৃত্বে আমার ভাইদের এবং বোন জামাতা দেশিও অস্ত্র নিয়ে রাতের আধারে মোহড়া দিয়ে এলাকার সাধারন জনগনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে ইহা উদ্দেশ্য প্রনীত যাহার বাস্তব কোন ভিত্তি নাই মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।’

মো: আব্দুর রহমানের নামে অভিযোগ করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ যারা করেছেন তাদের মধ্যে মুনিরুজ্জামান বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি স্থায়ী প্রতিনিধি, উপজেলা প্রসাশন, এবং বর্তমান প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নহে। যা তার বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। বিগত উপজেলা ও জাতীয় নির্বাচনে পার্বত্য আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠির মনোনিত প্রার্থী পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালায় তিনি। তিনি বিভিন্ন সময়  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরকারী বিরোধী  বিভিন্ন পোষ্ট শেয়ার করে। সে বর্তমান ২ নং বরকল সদর ইউনিয়নের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর দলনেতা হিসেবে দাবী করিয়া আসিতেছেন। সে পদটিও বৈধ নয় কারন তাহার স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় ঠিকানা ৩ নং আইমাছড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কলাবুনিয়া গ্রামে। তিনি কি করে ২ নং বরকল সদর ইউনিয়নের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর দলনেতা হিসেবে দাবী করে? যাহা আনসার ভিডিপি নীতিমালার বাহিরে। যে ইউনিয়নের কোটা সে ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়া বাধ্যতা মূলক। সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছে।

তার বিরুদ্ধে জেলা আনসার ও বিডিপি কমান্ড্যান্ট এর কাছে ২ নং বরকল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমলেন্দু বিকাশ চাকমা অভিযোগ দায়ের করেন (সূত্র- বর/ইউপি/বর/অভিযোগ/২০১৬/২৪৬)। এবং মাসা মার্মা মহিলা মেম্বার ২ নং বরকল ইউনিয়ন পরিষদ একই সূত্রে তিনিও অভিযোগ দায়ের করেন। আরেক জন ইমদাদ তিনি একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী এবং ভূমিদস্যু ইমদাদ শেখ যার ঘরে সর্বদা দেশিও ধারালো অস্ত্র, রামদা, চাপাতি ইত্যাদি ধরনের মারাত্মক অস্ত্র থাকে। কোন কিছু হলেই দেশিও অস্ত্র নিয়ে তিনি মোহড়া দেয়। তিনি উগ্র প্রকৃতির লোক। ২০০৪ সালে বরুন ও তার সহধর্মীনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ছিলো এমদাদ।

২০০৪ সালে ১ নং জিআর মামলায় দীর্ঘ দিন কারাগারে বন্দী ছিলো। বর্তমানে জামিনে আছে। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। অন্যতম সড়যন্ত্রকারী সাইদুল ইসলাম ও তার সহধর্মীনি শিউলি বেগম একজন ভূমিদস্যু এবং তারা উভয়ই নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের বরকল উপজেলার কলাবুনিয়া গ্রামের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছে। গ্রামের সহজ-সরল ধর্মপ্রান মানুষকে ধর্মীয় অপব্যাখা দিয়ে নিজেদের অনুসারী বানানোর চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions