বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

বিধিমালা হয়ে গেলে কয়েক মাসের মধ্যে শুনানীতে যেতে পারবে ভুমি কমিশন : ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়

প্রকাশঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:১৩:০৪ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৮:২১:২১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক শেষে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, আমার মনে হয়, আমি একটি অর্জন নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছি। আমাদের পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশন কমিটির সকল সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের প্রস্তাবিত বিধিমালাটি খুব বেশি দেরি না হয়ে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হবে বলে আশা করছি। বিধিমালাটি সবার আশা আঙ্খাংকা অনুযায়ী নাও হতে পারে। তবে আইনের যে বিধিমালা রয়েছে  তার সম্পূক যদি কিছুটা সাহায্য পায় তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে বিষয়টি শুনানির পর্যায়ে যেতে পারব। তারপরেও বলা মুশকিল কোন ধরনের বিরোধ কত সময় লাগবে। পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের সকল সদস্যরা আমরা খুবই আন্তরিক। আমরা সদস্যরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের অভিযোগকারি কিংবা ভুক্তভুগীদের ভূমির বিষয়ে শুনানির পর্যায়ে যাবো এবং আমরা নিরপেক্ষভাবে ন্যায়্যভাবে সিদ্ধান্ত নিবো।

এক প্রশ্নের জবাবে চাকমা সার্কেল চীফ বলেন, বিধিমালার কাজ মূলত হয়ে থাকে মূল আইনের কিছু বিষয় উপর। যেগুলোর উপর আরো বেশি ব্যাখ্যা, পরিপূরক কিছু তথ্য প্রয়োজন। সেইগুলো বিধিমালাতে চলে আসে। আইনটি দেখে যদি আমি বুঝতে না পারি তাহলে বিধিমালাটি আরো প্রেক্ষিত অনুসারে আরো বুঝতে সহজতর হবে। এইভাবে শুনানি হবে, স্বাক্ষী হবে, রায়, আদেশ ইত্যাদি। সেই জন্যই বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে চাকমা সার্কেল চীফ তিনি বলেন, আইন কিংবা বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সকলের মনের মত নাও হতে পারে। এখানে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকের অনেক রকম থাকতে পারে। একশত ভাগ পাহাড়ী বাঙালী কিংবা বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী সকলের স্বার্থ রক্ষা নাও  হতে পারে। এটি সম্ভব নয়, কোন আইনের মাধ্যমে কোন সরকারই সকলকে খুশি করতে পারবে না। তবে আমরা মনে করি, পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশন ২০০১সালে যে বিধিমালাটি সরকার করেছে এবং তা ২০১৬সালে সংশোধন করেছে এটি যথাযথভাবে হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা সরকার করবে। ২০০১সালে যে বিধিমালাটি সরকার করেছে এবং তা ২০১৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ যে সংশোধন দিয়েছে, হয়তো আরো দেওয়া হবে। তা সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখেই বিধিমালা প্রণয়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী।  



এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions