শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
বিজু সাংগ্রাইং বৈসুক বিষু বিহু চাংক্রান-২০১৮ এর চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন

উড়ো উড়ো মন, ধুরো ধুরো বুকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বিঝু পালন করতে হচ্ছে: উষাতন তালুকদার এমপি (ভিডিওসহ)

প্রকাশঃ ০৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:৪৭:০৫ | আপডেটঃ ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১২:৪৩:৫৯

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির নির্বাচিত সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার এমপি বলেছেন, উড়ো উড়ো মন, ধুরো ধুরো বুকে চরম নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে বিঝু পালন করতে হচ্ছে। সারাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, পাহাড়ের অবস্থা আরো খারাপ ভালো না, যে কোন সময় যে কোন মুহুর্তে এখানে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের সব সময় মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়, তবে আশাহত হলে চলবে না, আশাবাদী হতে হবে, আশা থাকলে আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।


আজ সোমবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিজু সাংগ্রাইং বৈসুক বিষু বিহু চাংক্রান-২০১৮ উদযাপন কমিটি সার্বজনিনভাবে চার দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

“জুম্মদের সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়নে অধিকতরভাবে এগিয়ে আসুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে  র‌্যালী এর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার , এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবধিকার কমিশনের সদস্য প্রফেসর বাঞ্চিতা চাকমা। র‌্যালীর পুর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উদযাপন কমিটির আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা, সাহিত্যিক শিশির চাকমা।


উষাতন তালুকদার এমপি আরো বলেন, গতবছর লংগদুতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এবছর লংগদুতে বিঝু বর্জন করলো, ক্ষতিগ্রস্থদের ঘরবাড়ী নির্মাণে টেন্ডার দিলে কোন ঠিকাদার আসে না। কিন্তু সরকার কি বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে না। আমি জনপ্রতিনিধি কই কেউ আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে নাই। আমি ছাড়াও অন্য কোন জনপ্রতিনিধিদের সাথেও প্রশাসন বা সরকার কোন বৈঠক করেনি। সরকার নিজেদের মন গড়া কাজ করলে তো হবে না জনগন কি চায় সেটিও দেখতে হবে। সরকারের দায়িত্ব এদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার এখানে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।


উষাতন তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হলো, রাজনৈতিক সমস্যা, শাসনতান্ত্রিক সমস্যা। এখানে শাসনতান্ত্রিক অধিকার নাই। পলিসি লেভেলে আমাদের ভূমিকা নাই, ভূমি প্রশাসনে আমাদের কোন অধিকার নাই।

শান্তি চুক্তি হওয়ার ২০ বছর পরও এখানে ডিসি,এসপিরা সমতলে যেভাবে জেলা পরিচালিত হয়। এখানেও ঠিক সেভাবে পরিচালনা করছে। জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদকে কোন তোয়াক্কা না করলেও তাদের চলে। তারা তাদের মত করে জেলা চালাচ্ছেন।

তাহলে সরকারের কাছে প্রশ্ন এই চুক্তি করলেন কেন? এই চুক্তি কি ভাওতাবাজি, আমাদের ভুলানোর জন্যে চুক্তি ? আমাদের কি ধোকা দেওয়ার জন্য শান্তি চুক্তি করেছেন? যেখানে চুক্তি আছে, আইনে আছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ একটা ইউনিট। এখানে আঞ্চলিক পরিষদ সর্বোচ্চ সংস্থা। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদকে মানা হচ্ছে না। সরকার এবং রাষ্ট্র আদিবাসীদের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। এটা হবে কেন। আপনারা চুক্তি করলেন কেন। চুক্তি করে কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো।


তিনি হুশিয়ারী উচ্ছারন করে বলেন, আমাদের দূরে ঠেলে দিবেন না, পরিণতি ভাল হবে না।


আলোচনা সভার পর পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।


পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু বা বৈসাবি উদযাপিত হবে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল।

 




এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions